শুক্রবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ     

ডেস্ক নিউজঃ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকের এক ছাত্রী তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ভিডিওধারণের অভিযোগ করেছেন এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার তিনি মোর্শেদ শাহরিয়ার নামে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোর্শেদ বলেন, ‘মেয়েটি আমার তৃতীয় স্ত্রী। সুবিধা হাসিলের জন্য সে এসব অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে। খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে থানার এক উপপরিদর্শককে বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে মামলা রেকর্ড করা হবে। লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশন ও জাতীয় দৈনিকের নরসিংদী প্রতিনিধিও ওই ব্যবসায়ী মোর্শেদ শাহরিয়ার। একই এলাকায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে মোর্শেদ শাহরিয়ারের সঙ্গে তার পরিচয়। ২০১৭ সালে ফেইসবুকে যোগাযোগের এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এরপর মোর্শেদ তাকে প্রাইভেটকারে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান দেখিয়ে গ্রামের বাড়ির কাছে একটি হোটেলে নামিয়ে দেন। এর এক সপ্তাহ পর কৌশলে তাকে সিলেটে নিয়ে যান এবং ইচ্ছের বিরুদ্ধে মেলামেশা করেন। এ ঘটনার পরও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে রাত্রিযাপন করেন মোর্শেদ। এক পর্যায়ে আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তিনি মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর গত ২৩ মার্চ একটি কাজী অফিসে পাঁচ হাজার টাকা দেনমোহরে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর তাকে ছেড়ে দিতে চাপ দিতে থাকেন মোর্শেদ। এরই মধ্যে গত ৩১ মে মোর্শেদ ছাত্রীর বাসায় গিয়ে তাকে মারধর ও মেলামেশা করেন এবং তার ভিডিওধারণ করেন। এরপর ডিভোর্স না দিলে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে ওই ছাত্রী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মোর্শেদ আগেও ৬টি বিয়ে করেছে। সে সব তথ্য গোপন রেখে আমার সঙ্গে সম্পর্ক করে। এখন নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ’দুটি বিয়ের কথা স্বীকার করে মোর্শেদ শাহরিয়ার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মেয়েটি আমার তৃতীয় স্ত্রী। দুই স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই এই বিয়ে করেছি। এখন সুবিধা হাসিলের জন্য সে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। ’

এই বিভাগের আরো খবর